প্রায় ৩৫০ সামুদ্রিক কচ্ছপের বাচ্চাকে বঙ্গোপসাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাহারছড়া ইউপির উত্তর শিলখালী সমুদ্রে হয়ে এসব কচ্ছপের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়।
কক্সবাজার টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া উত্তর শিলখালী এলাকায় ইউএসআইডির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কোডেক বাস্তবায়িত নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে উত্তর শিলখালী এলাকায় জন্ম নেয় এসব কচ্ছপের বাচ্চাঅদ্যাবধি ২ হাজার ৪০৪টি ডিম সংরক্ষণ করা হয়েছ। এর মধ্যে আজকে ৩৫০ টি বাচ্চাসহ গত কয়েকদিন আগে ১ হাজার ১৮১টি বাচ্চা সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্পের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাহার ছড়া উত্তর শিলখালী তাদের নিজস্ব হ্যাচারির রাত প্রহরী নুরুল আমিন সমুদ্র চরে মা কচ্ছপ ডিম ছাড়তে তীরে উঠলে তখন দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কচ্ছপের ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারিতে সংরক্ষণ করেন। সেখানে জন্ম নিয়েছে এসব বাচ্চা। পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর বড় হলে সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাগরে অবমুক্ত করা হয়।
টেকনাফ বন রেঞ্জের আওতাধীন শিলখালী রেঞ্জের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম জানান, সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজনন প্রক্রিয়ার তদারকি করে আসছে কোডেকের প্রজেক্ট (নেচার এন্ড লাইফ প্রকল্প) তাদের উত্তর শিলখালী নিজস্ব হ্যাচারিতেই জন্ম নিয়েছে এসব কচ্ছপের বাচ্চা।
টেকনাফ উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা বলেন, কচ্ছপ সমুদ্রের ময়লা আবর্জনা খেয়ে সমুদ্রকে পরিষ্কার রাখে, সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য কচ্ছপের যেমন প্রয়োজন তেমন অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে কোডেকের কাজ প্রশংসার দাবি রাখে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিবেশ অধিদপ্তর সহকারী পরিচালক নাজমুল হুদা, কোডেক ন্যাচার এন্ড লাইফের প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর নারায়ণ কান্তি দাস, এনআরএম ম্যানেজার অসীম বড়ুয়া, ন্যাচার এন্ড লাইফের সাইট কো-অরডিনেটর শরিফুল আলম, লিয়াকত আলী ও সাপোর্ট স্টাফ-রমেশ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কর্মচারীরা।।