দীর্ঘ ১০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এসিডে দগ্ধ নারী ইয়াছমিন আকতার (২০)।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ইয়াছমিন চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিঙ্গললোঙ্গো এলাকার আবুল বাশারের মেয়ে।
এর আগে গত ৪ মে রাতে মো. আজিম (৩০) ইয়াছমিন আকতারকে এসিড মারার অভিযোগ পাওয়া যায়। আজিমকে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. আজিমের সঙ্গে ইয়াছমিন আকতারের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে ইয়াছমিন জানতে পারে আজিম বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। তার পর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। ঘটনার দিন রাতে (৪ মে) ইয়াছমিনের বাড়ির জানালা দিয়ে আলাপ করার একপর্যায়ে হঠাৎ তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে আজিম পালিয়ে যায় বলে জানান ইয়াছমিন আকতারের ভাই আবু তাহের। পরে আবু তাহের বাদী হয়ে থানায় মো. আজিমকে আসামি করে একটি মামলা করলে চন্দ্রঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইয়াছমিন আকতারের ভাই আবু তাহের বলেন, ৪ মে রাত ২টার দিকে হঠাৎ ইয়াছমিনের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি তার শরীরের অর্ধেক ঝলসে গেছে। তার এ অবস্থা কে করেছে জানতে চাইলে ইয়াছমিন জানায়, আজিম জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের সহযোগিতায় ইয়াছমিনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেন।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মাহাবুব মিলকী বলেন, ইয়াছমিন আকতার মারা যাওয়ায় আইনি প্রক্রিয়াগুলো দেখা হচ্ছে।