নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে স্ত্রীর সামনেই স্বামীকে কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে আহত মো. সুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সুজনের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী মানববন্ধন এবং সমাবেশ করছে। সোমবার বেলা ১১টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ মানববন্ধন-সমাবেশে স্থানীয়রা জানান, জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার মো. রফিকের ছেলে মো. সুজন তার স্ত্রীকে নিয়ে গত ১৭ মে বিকালে শহরের হাউজিং বালুর মাঠে বেড়াতে যান। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী সুজনের স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর কথাবার্তা বলতে থাকে। একপর্যায়ে তারা সুজনের স্ত্রীর শরীরে হাত দিলে সুজন বাধা দেয়। এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সুজনকে বেধড়ক পিটিয়ে ও কুপিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে ফেলে দেয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সুজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
সমাবেশে মামলার সব আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সুজনের চাচা মাসুদ শাহিন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত অপূর্বসহ অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।