নোয়াখালীর কবিরহাটে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বে বৃদ্ধ মহিন উদ্দিনকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- নিহত বৃদ্ধের মেয়ে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মুন্সি মিয়ার বাড়ির শাহিনা আক্তার (৩৭) ও তার স্বামী নুরনবী ওরফে সুমন (৪০) ও নাতি ইউছুফ ওরফে শামীম (১৮)।বুধবার ভোর রাতে গাজীপুরের জয়দেবপুরের সালনা এলাকা থেকে কবিরহাট থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। একই দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মইন উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতির বিরুদ্ধে।
নিহত মহিন উদ্দিন (৬০) উপজেলার উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পরের দিন সকালে নিহতের আরেক মেয়ে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামি করা হয় নুরনবী তার স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৩৭) ও তাদের ছেলে ইউছুফ ওরফে শামীম।
এ ছাড়া মামলায় নুরনবীর আরেক ছেলেকেও আসামি করা হয়। নুরনবী তার পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন।
উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে নিহত মহিন উদ্দিন ঘরজামাই নুরনবীর কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে নুরনবীর সঙ্গে মহিন উদ্দিনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মহিন উদ্দিনের সঙ্গে নুর নবী ও তার ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নুরনবী ও তার ছেলেরা মহিন উদ্দিনকে মারধর করেন। এতে মহিন উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে নুরনবী ও তার পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়।