সারাদেশে কয়েক লাখ পরিবারের ভূমিহীন শব্দটি চিরতরে মুছে দিলেন জাতীর জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার ‘মুজিব বর্ষে’ নেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভূমিহীনপরিবারের মধ্যে জমির দলিলসহ নতুন ঘর উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনতিনি বলেন, নির্ধারিত ঠিকানা না থাকায় আপনাদের পরিবারের সন্তানদের যোগ্যতা থাকার পরও সরকারি চাকরি পেতে বিরাট বাঁধা হয়ে দাঁড়াত, ভূমিহীন পরিবারের সদস্যদের ভুমির দলিল না থাকায় পাসপোর্ট প্রাপ্তিসহ নানা অসুবিধার মুখে পড়তে হতো। আপনাদের মতো সারাদেশে কয়েক লাখ পরিবার পর্যায়ক্রমে ভুমির দলিল ও নতুন ঘর পাওয়ার পর আশ্রয়হীন ও ভূমিহীন শব্দটি চিরতরে তুলে দিতে পেরেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তাহিরপুরে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রায়হান কবিরের সভাপতিত্বে উপকারভোগী পরিবারের সদস্যদের হাতে নতুন ঘরের মালিকানাসহ ভূমির দলিলপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো. আলাউদ্দিন,থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান উ- দৌলা,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজী মো. মাসুদুর রহমান, উপজেলার সাত ইউপি চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা,উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্ধ,গণমাধ্যমকর্মী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তাহিরপুরের ইউএনও মো. রায়হান কবির জানান,আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার হিসাবে ৩য় পর্যায়ে ভূমিহীন,গৃহহীন পরিবারের মধ্যে মঙ্গলবার উপজেলার মাণিগাঁও এ ২৮জন উপকারভোগীকে ভূমির দলিলসহ নতুন ঘর হস্থান্তর করা হয়। ৩য় পর্যায়ে ৮৫টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মানিগাঁও-এ ২৮টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। উপজেলার আরো দু’টি স্থানে ৫৭টি নতুন ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত,আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে ট্যাক্স ভ্যাট ব্যতীত প্রতিটি ঘরের নির্মাণ বরাদ্দ ছিল ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫’শ টাকা।।