সিলেটে বন্যার্তদের স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের কাছে হেলিকপ্টার ও জলযান চাওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, যেসব দেশে সবসময় বন্যাকবলিত হয়, সেখানে এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সে ধরনের পানিতে চলার যান কিংবা হেলিকপ্টার নেই। অন্য মন্ত্রণালয়ের থাকতে পারে। আমরা সরকারের কাছে এ সহযোগিতার জন্য আহ্বান করবো।
রোববার (১৯ জুন) রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আয়োজিত ‘মৃত্তিকাবাহিত কৃমি সংক্রামক ব্যাধি সামিট ২০২২’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেটে অনেক বড় বন্যা হয়েছে। সুনামগঞ্জ ও সিলেট সবচেয়ে বেশি ইফেক্টেড (প্রভাবিত)। সেখানে হাসপাতালে প্রায় দুই থেকে তিন ফুট পানি উঠে গেছে। বন্যার্তদের চিকিৎসাসেবায় ঢাকায় আমাদের কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় কন্ট্রোল রুম রয়েছে। আমরা ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে খবর নিচ্ছি।
জাহিদ মালেক বলেন, সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের ১১ জেলায় সৃষ্ট বন্যায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের চার হাজার মেডিকেল প্রস্তুত রয়েছে। সিলেট অঞ্চলের সব পর্যায়ের চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে পানি বিশুদ্ধকরণ টেবলেট পাঠানো হয়েছে। সবার জন্য খাবার পাঠানো তো আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়, আমরা সাময়িকভাবে কিছু খাবার পাঠিয়েছি। সাপের কামড়ের চিকিৎসায় অ্যান্টিভেনমও পাঠানো হয়েছে। আমাদের চিকিৎসা চালু আছে। সেটা কোথাও বন্ধ নেই। আইসিইউ (নিবির পরিচর্যা কেন্দ্রে) সেবা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য সেখানে জেনারেটর ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।