পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন মানুষ। কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই এবার কর্মস্থলে ফিরতে পারছেন তারা। তবে ঘাটে ফেরি বহরে কম থাকায় কিছুটা সময় ঘাটে অবস্থান করতে হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।
এদিকে ঈদ শেষে এখনও মানুষ তেমন একটা কর্মস্থলে না ফেরায় ১২টি ফেরি বহরে রেখে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার সরেজমিন, দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটে দেখা যায়, একাধিক ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রী ও ঢাকাফেরত যাত্রীরা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ফেরিতে ফিরছেন।
ওষুধ কোম্পানি রেনাটায় চাকরিরত মাগুরা থেকে ঢাকামুখী যাত্রী মেহেদী হাসান বলেন, গতকালই আমার ছুটি শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার গিয়ে অফিস করতে হবে। তাই ভোরে মোটরসাইকেলযোগে মাগুরার বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কিন্তু ফেরি নদী পার হয়ে অনেক দেরিতে আসছে।
ঢাকাফেরত যাত্রী সোহেল রানা বলেন, পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে ঈদ করতে পারিনি। অফিস থেকে ঈদের ছুটিও হয়নি। তাই ঈদ শেষে বাড়ি যেতে চন্দ্রমল্লিকা-৮ ফেরিতে করে নদী পাড়ি দিয়ে প্রাইভেটকার নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়াঘাটে দায়িত্বরত অডিট অফিসার বেলাল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরি বহরে যাত্রী পারাপারের জন্য ২২টি ফেরি বহরে থাকলেও শুধু ১২টি ফেরি দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ঈদ শেষ হলেও যানবাহনের তেমন চাপ বাড়েনি। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লে বাকি ফেরিগুলো চলাচলের কাজে ব্যবহার করা হবে।