কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমা সাদৃশ্য লাল টেপে জড়ানো একটি বস্তু, ফাটানো বোমার বস্তু ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে চর বানিয়াপাড়া বাজার কার্যালয় এলাকা থেকে পুলিশ এগুলো জব্দ করে।
কিন্তু কে বা কারা কাকে উদ্দেশ্য করে এগুলো রেখে গেছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা বলছেন, একদল দুষ্কৃতকারী এলাকার শান্তি বিনষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এমন অপকর্ম করতে পারে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জব্দ করা চিঠিতে লেখা রয়েছে, তোরা যখন এলাকায় ছিলিনা, তখন সব ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু তোরা যা করছিস, তা ঠিক না। আজ নমুনা দিয়ে গেলাম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তোর জন্য বেশি না দুটো গুলিই যথেষ্ট। যা তুই উপহার পাবি। আর কাফনের কাপড়টা ঠিক করে রাখিস। যা তোর কাজে লাগবে। সাবধান, সাবধান, সাবধান।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন গেলে স্থানীয়রা জানায়, সকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বোমা, চিঠি, কাফনের কাপড় দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এগুলো নিয়ে গেছেন। তবে কে বা কারা কি উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে, তা জানা যায়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আক্তার হোসেন বলেন, অফিসটিতে তিনি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে অফিসের সামনে কাফনের কাপড়, বোমা, চিঠি রেখে গেছেন তা জানি না। পুলিশ সেগুলো নিয়ে গেছেন।
ওই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশেই বসবাস করেন ভ্যানচালক সিয়াম। তার স্ত্রী আনিছা খাতুন বলেন, রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ভাবলাম ভ্যানের চাকা ফেটে গেছে। পরে সকালে জানতে পারলাম ককটেল বোমা ফেটেছে।
এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন, আমি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি ছিলাম। আমার কর্মীর কার্যালয়ের সামনে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারী। এলাকার শান্তি নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এমন অপকর্ম করতে পারে তারা। এলাকায় চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, চর বানিয়াপাড়া বাজার এলাকা থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমা সাদৃশ্য লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।