টানা ছুটির সুযোগ নিয়ে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারে হাজার হাজার পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। বুধবার থেকে পর্যটক আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে সাগর পাড়ের হোটেল-মোটেলগুলোর ৭০-৮০ ভাগ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্টে পর্যটকে ভরপুর। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত পর্যটকরা সমুদ্রজলে গা ভাসাতে এবং বালিয়াড়িতে হেঁটে বেড়ানোর আনন্দে মাতিয়ে তুলছেন নিজেদের। সাগরের ঢেউয়ের সাথে দুলে দুলে ভ্রমণকে স্বার্থক করছেন অনেকে। কেউ কেউ জেটস্কিতে করে গভীর পানি থেকে ঘুরে আসছেন। আবার কেউ কেউ ঘোড়ায় চড়ে ছবি ধারণের মাধ্যমে মিটিয়ে নিচ্ছেন রাজার সাধ। প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে গুড়ালি সমান পানিতে পা ভেজাচ্ছেন যুগলরা। সঙ্গীহীন প্রিয়জনের নামটি মাটিতে লিখায় ব্যস্ত অনেক তরুণ-তরুণী।
ঢাকার উত্তরা থেকে পরিবারের ৭ জন নিয়ে ৩ অক্টোবর কক্সবাজার এসেছেন বেসরকারি কোম্পানীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমরা কলাতলীর হোটেল লেগুনা বিচে উঠেছি। প্রতিবছর কক্সবাজার আসতে চেষ্টা করি। এবার টানা ছুটিতে সপরিবারে চলে এসেছি। অনেক মজা করছি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। অন্যান্য বারের চেয়ে অনেক ভালো লাগছে।
বরিশালের হিজলা থেকে আসা মো. আব্দুর রজ্জাক বলেন, গেল ৩ অক্টোবর পরিবারের ৩ জনকে নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। ৭ দিন থাকবো। এছাড়া কক্সবাজারে আমাদের ট্রেনিংও চলছে। সেই ফাঁকে পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। অনেক ভালো লাগছে।
ঢাকার উত্তরা থেকে আসা ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন নামের আরেক পর্যটক বলেন, কক্সবাজারে এসে ভালো লাগছে। তবে সৈকতে ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের পরিত্যক্ত বোতল পড়ে থাকতে দেখে খারাপ লেগেছে। এসব দেখে সৈকতটা অপরিস্কার মনে হয়েছে। হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘বর্তমানে কক্সবাজারে লক্ষাধিক পর্যটক অবস্থান করছে। ইতোমধ্যে হোটেল-মোটেলের ৮০ শতাংশের উপরে রুম বুকিং হয়ে গেছে। রাতে আরো পর্যটক এসে শতভাগ পূরণ হয়ে যাবে হোটেলের রুম।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মিজানুজ্জামান বলেন, পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে বিভিন্ন টিমে ভাগ হয়ে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সদস্যরা। সৈকতে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে। কোনো পর্যটককে হয়রানির চেষ্টা করলে আমরা দুষ্কৃতিকারীকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনবো।