পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান ও তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
মামলার ১নং আসামি নাউতরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান) অধ্যক্ষ মাহামুদুল হাসান নয়ন। ২নং আসামি করা হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান আশিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনিকে। নয়ন ইউপি চেয়ারম্যানের বড় ভাই।
সোমবার রাতে ওই ছাত্রীর বাবার করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ডিমলা থানায় মামলা নথিভুক্ত (রেকর্ড) করা হয়েছে।
ডিমলা থানার ওসি লাইসুর রহমান জানান, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯(৪)(খ)/ ৫০৪ ধারায় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার ভাইয়ের নামে মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল ক্লাস পরীক্ষার পর নিজের অফিসকক্ষে ডেকে অধ্যক্ষ নয়ন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় ছাত্রীটি কান্না করলে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ধমক দেন।
গত শনিবার ছাত্রীর বাবা তার মায়ের কাছ থেকে বিষয়টি শোনেন। ছাত্রীর বাবা ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করেন।
কিন্তু চেয়ারম্যান তার বড় ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগটি মিথ্যা দাবি করে স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ করেন ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে মানববন্ধব করান।
এ বিষয়ে ছাত্রীর চাচা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টির আপস-মীমাংসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা করতে না পেরে ঘটনাটি ধাপাচাপা দিতে ছাত্রীর অভিভাবকদের বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধন করিয়েছেন। ঘটনাটি ভিন্নভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ছাত্রীর পরিবারকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার পাঁয়তারা করছেন তিনি। চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের কারণে পরিবারটি চরম নিরাপত্তায় ভুগছেন।
নাউতরা ইউপি চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ নয়নের ছোট ভাই আসিক ইমতিয়াজ মোর্শেদ মনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে আমার ভাইকে হেয় করা হচ্ছে। আমার ভাই দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে চাকরি করেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।