ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে খাদ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে ৯ বাম সংগঠনের মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দিকে অভিযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়।
এর আগে বিক্ষোভ সমাবেশে ৯ সংগঠনের পক্ষে ৭ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হচ্ছে— সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যদের মতো সারাদেশে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের জনগণের জন্য পূর্ণ রেশনিং চালু করা; সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিতে হবে এবং স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী-লুটেরা আড়তদার দুর্নীতিবাজ খুচরা বিক্রেতাদের শাস্তি দেওয়া; বাজার তদারকি জোরদার করা ও পণ্য পরিবহনে পথে পথে পুলিশের চাঁদাবাজি বন্ধ করা; টিসিবির বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো ও সেখানে বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধীকার দেওয়া; জাতীয় বাজেটে খাদ্যশস্য ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা থোক বরাদ্দ দেওয়া ও খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য প্রতিটি জেলায় ও কৃষি প্রধান এলাকায় আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ করা; গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম বৃদ্ধি না করা ও জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য ও পরিবহনের বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করা এবং সভা সমাবেশ মিছিলে পুলিশ ও সরকারি গুন্ডাদের হামলা বন্ধ করা।
৯ সংগঠনগুলো হচ্ছে— বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চা, জাতীয় গণফ্রন্ট, গণমুক্তি ইউনিয়ন, বাসদ (মাহবুব), জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টি এবং কমিউনিস্ট ইউনিয়ন।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নয়া গণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতা শুভাংশ চক্রবর্তী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণমুক্তি ইউনিয়নের আহবায়ক নাসিরুদ্দিন নাসু প্রমুখ।
হোম | যোগাযোগ | গোপনীয়তার নীতি | শর্তাবলী
All Rights Reserved By PM LLC © 2020 To Present - Development By Rumel Ahmed