আত্মহত্যাই করেছেন কলকাতার মডেল-অভিনেত্রী বিদিশা দে মজুমদার। তার ঘর থেকে উদ্ধার সুইসাইড নোট থেকে এমনটি দাবি করা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টেও খুনের আলামত মেলেনি।
যদিও এখনই সিদ্ধান্ত জানাতে নারাজ কলকাতা পুলিশ। তবে আত্মহত্যা দাবি করলেও মেয়ের মৃত্যুর জন্য বিদিশার প্রেমিক অনুভব বেরাকে দায়ী করে থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তার পরিবার। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে বিদিশা আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তাদের।
অনুভবের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের তাঁতিগেড়িয়ারে। ফেসবুকে বিদিশার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অনুভবের।
এবার পরিবারের মতো সেই অনুভবকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিদিশার বান্ধবী দিয়া দাস।
মৃত্যুর আগে বিদিশার সঙ্গে তার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আনলেন দিয়া।
চ্যাটে বারবার উঠে এসেছে অনুভবের প্রসঙ্গ। সেখানে বিদিশা লিখেছেন, ‘আমি বাঁচতে পারব না অনুভবকে ছাড়া।’
আরও লিখেছেন, ‘আমি শুধু ওকে চাইতাম।’ আবার লিখেছেন, ‘বাই এনি চান্স আমার কিছু হয়ে গেলে ওকে বলিস, খুব ভালোবাসতাম। ওকে কারও সঙ্গে দেখতে পারতাম না।’
অনুভব প্রসঙ্গে বিদিশা লিখেছেন, ‘আমার মা, বাবার থেকেও ওকে অনেক বেশি ভালোবাসতাম।’
বিদিশার মৃত্যুর পর অনুভবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন দিয়া।
এ নিয়ে বিদিশার বান্ধবী বলেন, ‘ছেলেটার (অনুভব) অনেক বান্ধবী রয়েছে। বিদিশার আত্মহত্যার পর, আমি ছেলেটাকে ফোন করি। ওকে বলি, ‘তুমি কি আসবে না অনুভবদা?’ ও তখন বলে, ‘না, আমি এত দূর থেকে যেতে পারব না।’ আমি বলি, ‘আমরা নৈহাটি, টালীগঞ্জ, নিউটাউন থেকে চলে আসছি। তুমি যেতে পারবে না?’ ও উত্তর দেয়, ‘না।’
আমি তখন ওকে জিজ্ঞাসা করি, ‘তুমি ওকে ভালোবাসতে না?’ তখন ও বলে, ‘আমি তো ওকে কোনো দিন বলিনি, আই লাভ ইউ।’ আমি ফোনে পাল্টা জিজ্ঞাসা করি, ‘আই লাভ ইউ না হয় বলোনি, কিন্তু রাতে একসঙ্গে তো থাকতে! অনুভব তখন বলে, ‘আমি তো জোর করে কিছু করিনি, যা করার ওই আমার সঙ্গে করেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে সন্ধ্যায় কলকাতার নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির বাড়ি থেকে অভিনেত্রী বিদিশা দে মজমুদারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
২১ বছর বয়সি বিদিশা নিয়মিত মডেলিং করতেন। টালিউডেও অভিনয় করেছেন। ‘ভাঁড়: The Clown’ নামে এক ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
হোম | যোগাযোগ | গোপনীয়তার নীতি | শর্তাবলী
All Rights Reserved By PM LLC © 2020 To Present - Development By Rumel Ahmed