শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির ইউএনপি দলের নেতা রনিল বিক্রমাসিংহে। এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন ইউএনপি দলের এই নেতা।
এর আগে ১৯৯৩ সাল থেকে শ্রীংলংকার পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিক্রিমাসিংহে। তাকে পশ্চিমপন্থী মুক্তবাজার সংস্কারবাদী হিসাবে দেখা হয়।বিক্রমাসিংহে পর পর দুইটি নির্বাচনে হেরে যান। তিনিই তার দলকে একের পর এক নির্বাচনী পরাজয়ের দিকে নিয়ে যান। এই কারণে তার নিজের সমর্থকরাও তাকে হিসেবে ‘রেকর্ড লুজার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
কিন্তু এতো কিছুর পরও ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের নির্বাচনী পরাজয়ের পরে বিরোধীরা কর্তৃত্ববাদী নেতার বিরুদ্ধে ঐক্য প্রার্থী হিসেবে তাকে সমর্থন দেওয়ার পর তিনি ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
কিন্তু তার ‘মিস্টার ক্লিন’ ইমেজটি সেই বছরের শেষের দিকে মলিন হতে থাকে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বন্ডের সঙ্গে জড়িত একটি অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়িক কেলেঙ্কারিতে তার প্রশাসনের নাম জড়ায়।
মাল্টি-মিলিয়ন ডলার কেলেঙ্কারির মূল অভিযুক্ত অর্জুনা মহেন্দ্রান সেই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ছিলেন। এই অর্জুনা মহেন্দ্রান ছিলেন বিক্রমাসিংহের সহপাঠী।
তার শাসনামলে ক্রোনিজম এবং পূর্ববর্তী রাজাপাকসে শাসনামলের সদস্যদের বিচার করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগও ওঠে।
শক্তিশালী রাজাপাকসে পরিবারের সঙ্গে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও ২০১৮ সালে শ্রীলংকাকে সংকটের মধ্যে ফেলেছিল। সে সময় মাহিন্দা ছয় সপ্তাহের জন্য প্রধানমন্ত্রীত্ব গ্রহণ করার আগে সুপ্রিম কোর্ট একে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছিল।
তবে সব দ্বন্দ্ব একপাশে সরিয়ে বৃহস্পতিবার টালমাটাল পরিস্থিতিতে শ্রীলংকার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রনিল বিক্রমাসিংহে। সূত্র: এএফপি
হোম | যোগাযোগ | গোপনীয়তার নীতি | শর্তাবলী
All Rights Reserved By PM LLC © 2020 To Present - Development By Rumel Ahmed