আগামী জুন মাসে পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আজ সেতু বিভাগের বোর্ডসভায় বেশ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে অগ্রাধিকার প্রকল্প পদ্মা সেতু। আগামী মাসের শেষ দিকে আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।বুধবার রাজধানীর বনানী সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী সময় দিলে আগামী জুন মাসের শেষেই পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে ধোঁয়াশার কোনও কারণ নেই। আমি মন্ত্রী হিসেবে জেনে-শুনেই বলছি, জুনেই সেতু উদ্বোধন করা হবে।
পদ্মা সেতুর সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার মূল সেতুর প্রায় ৯৮ ভাগ কাজ শেষ। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং নদীশাসনের কাজ শেষ হয়েছে ৯২ শতাংশ। সেতুর কার্পেটিংয়ের কাজ ৯১ ভাগ শেষ।
সেতুর নামের বিষয়ে কাদের বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের বলা হচ্ছে পদ্মা সেতুর নাম ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার। আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, কিন্তু তিনি রাজি হচ্ছেন না। তবে আমরা সেতু উদ্বোধনের যে সামারি পাঠাব, সেখানে ‘শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু’ করার জন্যই নাম প্রস্তাব করব।
পদ্মা সেতুর টোল হার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল বলেন, আমরা টোলের সামারি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। তিনি যেটা অনুমোদন করবেন, সেটাই হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সেতু বিভাগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো চট্টগ্রামের কর্ণ ফুলী টানেল। চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন দুটি টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ২৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম টানেল টিউবের রিং প্রতিস্থাপন, বোরিং এবং লেন স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, ২৪৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতীয় টানেল টিউবের রিং প্রতিস্থাপনসহ বোরিং কাজও শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় টানেল টিউবের ২৪৫০ মিটার লেন স্ল্যাবের মধ্যে ১৬৮৩ মিটার লেন স্ল্যাব ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৮৫ ভাগ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, বিদুৎ বিভাগের সচিব হাবিবুর রহমান, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবির, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মামুন-আল-রশীদ, সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মনজুর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
হোম | যোগাযোগ | গোপনীয়তার নীতি | শর্তাবলী
All Rights Reserved By PM LLC © 2020 To Present - Development By Rumel Ahmed