হাবিবুর রহমান মুন্না।
আমি চীরতরে দূরে চলে যাব, তবে আমারে দেব না ভুলিতে। মানবতার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তার গানে ঠিকই বলেছেন।কুমিল্লায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে “তিনি চীরতরে দূরে চলে গেছেন ঠিকই, কিন্তু তিনি তাকে ভুলিতে দেননি “। এজন্যই মানুষ তাঁকে এখনও স্মরণ করেন। তিনি মানুষের ভালবাসার মনিকোঠায় আছেন এবং আজীবন থাকবেন।
মঙ্গলবার (২৫মে) বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কুমিল্লা কুমিল্লা নগরীর টাউনহল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, স্বারক বক্তব্য রাখেন নজরুল গবেষক ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক শান্তি রঞ্জন ভৌমিক, বিশেষ অতিথি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পৌত্রী খিলখিল কাজী, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সফিকুল ইসলাম, র্যাব ১১ সিপিসি ২ কুমিল্লা কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন, কুমিল্লা ৬ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম বাহাউদ্দীন বাহার এমপি,সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম সিমিন হোসেন রিমি এমপি, ধন্যবাদ জানান কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সভাপতিত্ব করেন, সাংস্কৃতিক
বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
কবি নজরুল ইসলামের পৌত্রী কাজী খিল খিল কাজী তার বক্তব্যে বলেন,জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি কবিকে দেশে না নিয়ে আনতেন তাহলে আমরা এই নজরুল ইসলামকে চিনতাম না এজন্য আমি বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভারত থেকে তিনি কবি নজরুল ইসলাম আবিস্কার করতে পারতাম না। তিনি বলেন, কাজী নজরুল ইসলামের আদর্শ কর্মকান্ড, কবিতা সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে তাহলে সমাজ সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা যাবে।
সভাপতির বক্তব্যে কে এম খালিদ হোসেন এমপি বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম কোন গোত্র বা কোন বিশেষ শ্রেনীর কবি নন। তিনি সব জাতীর ও সব গ্রোত্রের মানুষের জন্য কবি। একজন গরীব মনে করে তিনি তার কবি ধনী ব্যাক্তি মনে করত নজরুল তাদের কবি এভাবে সমাজের সব শ্রেনীর লোক তাকে নিজেদের কবি মনে করতো। এভাবে তিনি সবার হৃদয়ে জায়গা করে নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী,হাসান মাহমুদ বলেন,
কাজী নজরুল ইসলাম শুধু যে কবিতা ও তাঁর লেখনীর মাঝে সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে তা নয়
তিনি নীপিড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। কবি নজরুল মানুষে মানুষে ভেদাভেদকে দূর করে একসাথে করার চেষ্টাই করেছেন আজিবন।
মন্ত্রী হাসান মাহমুদ আরো বলেন,এ জন্যই কবি নজরুল ইসলাম বলেছেন, গাহি সাম্যের গান,মানুষের চেয়ে নহে কিছু বড় নহে কিছু মহিয়ান।
কবি নজরুলের বিদ্রোহের আড়ালে মানুষের প্রতি ভালবাসা। জাতি,ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য নজরুল কবিতা লিখেছেন। তার কবিতা ও গান মানুষের মাঝে বৈষম্য দূর হয়েছে।
আলোচনা শেষে কাজীনজরুলের
লেখা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন ঢাকা ও কুমিল্লার শিল্পকলার একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।
হোম | যোগাযোগ | গোপনীয়তার নীতি | শর্তাবলী
All Rights Reserved By PM LLC © 2020 To Present - Development By Rumel Ahmed